বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে পাহাড় জুড়ে উন্নয়ন বোর্ডের অ্যাডভেঞ্চার উৎসব
নিউজ ডেস্ক
বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ও অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আগামী ১১-১৫ জানুয়ারি পাহাড় জুড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২০ পালিত হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
গত ২রা জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর- রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনেরর ভাইস প্রেসিডেন্ট তরুন কান্তি ঘোষ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের প্রধান সমন্বয়ক সুবিনয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সমম্মেলনে বক্তারা বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২০ এর বিস্তারিত কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য তুলে ধরেন এবং উৎসবের টি-শার্ট, জার্সি ও ক্যাপ উন্মোচন করেন।
এসময় নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানান, আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান রাঙামাটিস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। উৎসবের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এবং উপস্থিত থাকবেন তিন পার্বত্য আসনের সংসদ সদস্যগণ, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সম্মানিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
তিনি জানান, সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী প্রথম নারী এভারেষ্ট জয়ী নিশাত মজুমদার কে “বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার সম্মাননা” প্রদান করা হবে। পরিশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব-২০২০ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত কোন অ্যাডভেঞ্চার উৎসব। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মাউন্টেইন বাইকিং, কায়াকিং, ক্যানিওনিং, কেভ ডিসকভারি, হাইকিং, ট্রেইল রান, রোপ কোর্স, টিম বিল্ডিং, টি ট্রেইল হাইকিং, সেইলিং বোটসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার ক্রীড়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। অ্যাডভেঞ্চারের মাধ্যমে দেশের অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা প্রসারিত ও বিকশিত হবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিগত দুই-তিন দশক ধরে প্রতি বছর এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভল অনুষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে এটিই হবে এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ।
