রামগড়ে এক উপজাতি কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধর্ষক উপজাতি যুবক আটক - Southeast Asia Journal

রামগড়ে এক উপজাতি কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ধর্ষক উপজাতি যুবক আটক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১বছর ধরে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বখাটের বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরাকে গত ২৬শে জুন শুক্রবার রাতে আটকও করেছে রামগড় থানা পুলিশ।

ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরা (২০) উপজেলার ডেবার পাড় এলাকার ভূবন মোহন ত্রিপুরার ছেলে।

রামগড় থানায় ধর্ষীতা ছাত্রীর বাবা রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেলছড়ি পাড়ার বাসিন্দা হাসিরাম ত্রিপুরার দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, উক্ত ছাত্রী উপজেলার গর্জনতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা অবস্থায় একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরার বোন তনুশ্রী ত্রিপুরার সাথে তার পরিচয় হয়। সেসময় শিক্ষিকা তনুশ্রী ত্রিপুরা হাসিরাম ত্রিপুরার মেয়েকে তাদের বাড়িতে থেকে লেখা-পড়ার করার সুযোগ করে দেবার আগ্রহ প্রকাশ করে। বিদ্যালয় থেকে ছাত্রীটির বাড়ির দূরত্ব বেশী হওয়ায় ছাত্রী ও তার পরিবার সেসময় শিক্ষিকা তনুশ্রী ত্রিপুরার বাড়িতে থেকে পড়ালেখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। কিন্তু বর্তমানে উক্ত ছাত্রী রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ার সুবাদে তাদের বাড়ি ছেড়ে বিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকতে শুরু করে। এমতাবস্থায় পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে দীপ্ত ত্রিপুরা তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে মেয়েটিকে প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে। এসময় ছেলেটির মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে মেয়েটি প্রায় সময় তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের সাংসারিক কাজকর্মে সহযোগীতা করতো। এদিকে গত বছরের ৩রা জুন মেয়েটি তাদের বাড়িতে গেলে ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরার মা মনিপ্রভা ত্রিপুরা মেয়েটিকে তাদের বাড়িতে থাকতে বলে এবং মেয়েটি তাদের বাড়িতে অবস্থান করে। সেদিনই ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরা গভীর রাতে মেয়েটির ঘরে ডুকে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর থেকে নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে গত ১লা জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ কয়েকবার তাকে ধর্ষন করে দীপ্ত ত্রিপুরা। এরই মধ্যে ভিকটিম অন্তঃস্বত্তা হওয়ার খবরটি দীপ্ত ত্রিপুরাকে জানানো হলে সে তাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়।

এমতাবস্থায় মেয়ের বাবা ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ছেলের পরিবারকে জানানোর পরেও তারা বিষয়টি নিয়ে সুরাহা করেনি। পরে তারা মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে ৮ মাসের অন্তঃস্বত্তা বলে জানায়। পরবর্তীতে মেয়ের বাবা বিষয়টি নিয়ে ত্রিপুরা কল্যান সংসদে বিচার দাবী করলে পরপর দুইবার বিচারের কথা বলেও কোন বিচার করা হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ের বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এ ঘটনায় মেয়ের বাবার মামলা দায়েরের পর ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরাকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে রামগড় থানারন ওসি সামছুজ্জামান বলেছেন, তাকে আদালতে প্রেরণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।