কালো ও সাদার পর ভারতে এবার ইয়েলো ফাঙ্গাসের হানা - Southeast Asia Journal

কালো ও সাদার পর ভারতে এবার ইয়েলো ফাঙ্গাসের হানা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

অতিমারীর মধ্যে ব্ল্যাক ও হোয়াট ফাঙ্গাসের দাপটে রীতিমতো কাপছে ভারত। যতদিন যাচ্ছে, এই ছত্রাক সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের পর নতুন ফাঙ্গাসের সন্ধান মিলেছে দেশটিতে। এর নাম ইয়েলো ফাঙ্গাস বা হলুদ ছত্রাক। এর মধ্যেই ভারতের স্বাস্থ্য বিশ্লেষকদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেললো এই নতুন ছত্রাক।

দেশটির উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে একজনের শরীরে মেলেছে এই ছত্রাকের সন্ধান। স্বাভাবিকভাবে এটি পাওয়া যায় সরীসৃপে। চিকিৎসকদের দাবি, ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের চেয়ে ইয়েলো ফাঙ্গাস বেশি ভয়াবহ।

উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ২৬টি ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এরমধ্যে সোমবার ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির দেহে পাওয়া গেছে ইয়েলো ফাঙ্গাস। তার শরীরে আরও দুই ছত্রাকেরও সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি নাক-কান-গলা বিশ্লেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্রিজপাল ত্যাগীর তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

নাক-কান-গলা বিশ্লেষজ্ঞ ব্রিজপাল ত্যাগী বলছেন, এন্ডোসকপি পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির তিন ধরনের ফাঙ্গাস ধরা পড়ে। ইয়েলো ফাঙ্গাস বা মিউকো/স্যাপ্টিক্যালস সরীসৃপে পাওয়া যায়। তবে প্রথম কোনো মানুষের শরীরে ইয়েলো ফাঙ্গাস শনাক্ত হলো।ইয়েলো ফাঙ্গাসের আক্রান্ত রোগী ক্ষত সারতে ব্ল্যাক ও হোয়োইটের চেয়ে বেশি সময় লাগে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে এই ছত্রাক বাসা বাঁধছে শরীরে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও আদ্র পরিবেশ এর অন্যতম কারণ। এছাড়া স্টেরোয়েড বা অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহারেও সংক্রমিত হওয়ার কারণ হতে পারে।

ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব, খিদে না লাগা। সংক্রমণ বেশি হলে রোগীর দেহে পূঁজ বেরোয়, ক্ষত থাকলে সারতে সময় লাগে। চোখে ক্ষতসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পচন ধরে যেতে পারে।

এই ফাঙ্গাসের একমাত্র চিকিৎসা অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ইঞ্জেকশন। তবে উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।