আবারো মৃত্যু চল্লিশের ঘরে
 
                 
নিউজ ডেস্ক
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। রোববার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ৭৬৫ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫জন।
মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গতকাল করোনাভাইরাসে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৭১০ জনের। ফলে শনাক্তের হার ও সংখ্যা আবারো বাড়লো।
দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২ হাজার ৩০৫ জন, মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৬৬০ জনের। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৫১ জন।
এ বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
