রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইসোয়াতিনির সমর্থন চাইলেন শাহরিয়ার আলম - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইসোয়াতিনির সমর্থন চাইলেন শাহরিয়ার আলম

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ ইসোয়াতিনির (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

গত ৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে: এমবাবানে ইসোয়াতিনির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী থুলিসাইল ড্যাডলার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সমর্থন চেয়েছেন। দুইদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে ইসোয়াতিনিতে রয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তিনি।

বৈঠকে ইসোয়াতিনির মন্ত্রী থুলিসাইল ড্যাডলার বলেন, এফবিসিসিআই (ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) ও ইসোয়াতিনির শীর্ষ চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইসোয়াতিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার ওপর জোর দেন।

শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাদশাহ তৃতীয় মসোয়াতিকে পৌঁছে দেন। তিনি ইসোয়াতিনি সফরে এসে আনন্দিত উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে একে অপরের সঙ্গে সমর্থন ও সহযোগিতা বিনিময় করছে। প্রতিমন্ত্রী দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ইসোয়াতিনির মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

বৈঠকে উভয়পক্ষই ইসোয়াতিনিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দ্বারা চুক্তিভিত্তিক চাষের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে সম্মত হন। উভয়পক্ষ কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য শিল্পে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণে সম্মত হয়েছে। এসময় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে ইসোয়াতিনি সরকারের সমর্থন কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।

পরে বাংলাদেশ ও ইসোয়াতিনির মধ্যে সমন্বিত পরামর্শ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং কৃষি ও কৃষি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছেন শাহরিয়ার আলম ও থুলিসাইল ড্যাডলার।

এসময় সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।