চাকমাদের বিষয়ে কি ভাবেন ত্রিপুরাদের কেউ কেউ?
 
                 
নিউজ ডেস্কঃ
চাকমারা জাতিতে উগ্র ও নৃশংস মানসিকতার বলে দাবি করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কেউ কেউ।
ত্রিপুরাদের মধ্যে কারো কারো দাবি, পাহাড়ে চাকমারা একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে পাহাড়কে অশান্ত করতে চাইছে। চাকমারা খুবই উগ্র মানসিকতাসম্পন্ন জাতিতে পরিণত হয়েছে। তারা মুখে মুখে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর অধিকারের কথা বললেও মূলত তারা নিজ জাতি ছাড়া আর কোন সম্প্রদায়ের ভালো সহ্য করতে পারে না বলেও দাবি কারো কারো।
ত্রিপুরাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেন, চাকমাদের জন্য শান্তিতে থাকতে পারে না পাহাড়ের উপজাতিরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ত্রিপুরা জাতি” নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া একটি বক্তব্য চোখ এড়ায়নি প্রতিবেদকের। বিষয়টি নিয়ে এখন উত্তাল ফেসবুক।
পাঠকদের পড়ার সুবিধার্থে উক্ত আলোচিত পোষ্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
চাকমারা যে বাঙালিদের মতোই নৃশংস মনস্তত্ত্বের অধিকারী, তা নিম্নোক্ত ঘটনাটিই স্পষ্ট করে –
গত মার্চ মাসের ২৬ তারিখ, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন রোড ৯নং ত্রিপুরা পাড়ায় দলবদ্ধভাবে পাহাড়ে কাটা জুম পুড়তে গিয়ে হেরেন ত্রিপুরা (৪৬) নিখোঁজ হয়ে যায়।

সূত্রমতে, রাত আনুমানিক রাত ১২:০০টায় অত্র পাড়ার প্রধান কার্বারী নীলবরণ চাকমা (৪৭), পিতা- মৃত যুগেন্দ্র চাকমা; সহ চার পাঁচজন চাকমাদের সাথে মিলে সঙ্ঘবদ্ধভাবে পাহাড়ের কাটা জুম আগুন দিতে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরেনি। পরদিন খোঁজাখুঁজির পর তার পোড়া লাশ পাওয়া যায়।
হেরেন ত্রিপুরার সাথে দশ হাজার টাকাও ছিলো। পরিবারের দাবি, এতজন দলবদ্ধ থাকতে শুধুমাত্র তাদের হেরেন ত্রিপুরা কিভাবে আগুনে পুড়ে মারা যায়? বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, হেরেন ত্রিপুরাকে কার্বারী নীলবরণ চাকমার চক্রান্তে খুন করা হয়েছে।
নিরীহ ত্রিপুরা জুমচাষীকে এভাবে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করল একদল চাকমা!!! মুখে বল – “আমরা সবাই আদিবাসী”, আবার সুযোগ পেলে ঠিকই বাঙালিদের মতো আচরণ করে ত্রিপুরাদের হত্যা করো, চাঁদাবাজি করো, অপহরণ করো। এরই নাম চাকমা, তাই না?
ত্রিপুরা জাতি ফেসবুক পেজ হতে দেয়া উক্ত স্ট্যাটাসের স্ক্রীনশপ নিম্নরুপঃ

