আদিবাসী ষড়যন্ত্রের অন্তরালে পাহাড়কে বিভক্ত করতে চাইছে সন্তু লারমা- পিবিসিপি বান্দরবান
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে রাষ্ট্রের সংবিধান বহির্ভূতভাবে স্পর্শকাতর আদিবাসী শব্দের ব্যবহার ও আদিবাসী দিবস পালনের নামে সন্তু লারমা পাহাড়কে বিভক্ত করতে চাইছে মন্তব্য করে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান আখন্দ বলেছেন, দেশ বিভক্তির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার ও অসাংবিধানিকভাবে আদিবাসী দিবস পালন করছে সন্তু লারমা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) সকালে বান্দরবান শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আদিবাসী দিবস পালনের নামে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আখন্দ বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তির সময় আদিবাসী কথাটি অর্ন্তভুক্তিতে আপত্তি ছিল জেএসএস প্রধান সন্তুু লারমার। তখন তিনি বলেছিলেন আমরা আদিবাসী নই, আমরা উপজাতি। এছাড়া চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশিষ রায় রাষ্ট্রীয়ভাবে অফিসিয়ালি লিখেছেন বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। প্রয়াত বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ রাজা অংশৈ প্রু চৌধুরী বলেছিলেন, “আমাদের বাপ-দাদারা মায়ানমারের রাজা। আমরা সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছি।” এর প্রেক্ষিতে কেন সন্তু লারমা হঠাৎ করে আদিবাসী নিয়ে এতটা সরব হলেন তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতিও আহবান জানান তিনি।
এসময় পার্বত্য ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, সদস্য সচিব মো: শফিকুর রহমান, মো: নেছার উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ত্রিপুরা, ৩নং ওয়ার্ড আহ্বায়ক মো: সাকিব চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে আগামী ১০ আগষ্ট বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ।