এবারে ভারতের আসামে নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন দায়িত্বরত মুসলিম বিএসএফ সদস্যরাও
 
                 
নিউজ ডেস্ক
পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের আসামে এবার সেদেশের নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন বর্ডারে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা।
বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমানকে সস্ত্রীক নাগরিকত্ব তালিকা থেকে দিয়েছে আসামের এনআরসি ট্রাইব্যুনাল। ভারতের রাজ্যটির এই বাসিন্দা বর্তমানে পাঞ্জাব সীমান্তে দায়িত্বে আছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানতা কেআর রিপোর্টার জানায়, গত বছর ডিসেম্বরে মুজিবুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে আসামের নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অথচ বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে মাত্র গত মাসে, এমনটাই দাবি ওই পরিবারের।
ভারতের সীমান্ত বাহিনীর এই কর্মকর্তা এখন নাগরিকত্ব হারিয়ে গ্রেপ্তারের সম্মুখীন। একইভাবে আরেক বিএসএফ কর্মকর্তা কারগিল যুদ্ধের হিরো মুহাম্মদ সানাউল্লাহকেও বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যদিও গুয়াহাটি হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মুজিবুর রহমান বলেন, নাগরিক তালিকা হালনাগাদে দায়িত্বরতরা তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেনি। আমরা ত্রুটিমুক্ত নাগরিক তালিকা চাই এবং এই প্রক্রিয়াকে সব সময় সহযোগিতা করব। আমি ভারত সরকারকে আবেদন জানাব, প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক কারা সেটি নিশ্চিত করতে, যাতে কেউ নাজেহালের শিকার না হয়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই প্রকাশিত বিতর্কিত নাগরিক তালিকায় (এনআরসি) ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষের নাম ছিল। সেই খসড়া থেকে বাদ পড়ে ৪০ লাখ মানুষ।
শুধু বিএসএফ কর্মকর্তা মুজিবুর এবং সানাউল্লাহ নয়, বাদ পড়া মানুষের মধ্যে আছে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যও। সেনাবাহিনীতে চাকরি করেও নাগরিকত্বের তালিকায় নাম নেই, এমন অভিযোগও উঠেছে। একই পরিবারের কারও নাম আছে আবার কারও নাম নেই এমন ঘটনাও ঘটে।
এদিকে ৩১ আগস্ট নাগরিক তালিকা থেকে বাদ যাওয়াদের নাম অনলাইনে প্রকাশিত হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা অফিসগুলোতে নথিবদ্ধ নামের তালিকার হার্ড কপি পাঠাতে হবে। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসাম থেমে মুসলিমদের বের করে দিতে এই নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
