বান্দরবানে অগ্নিদগ্ধ শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা দিল সেনাবাহিনী
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম মডেল বম পাড়া এলাকায় অগ্নিদগ্ধ এক শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই মানবিক সহায়তা পেয়ে সন্তুষ্ট ও কৃতজ্ঞ পরিবার ও গ্রামবাসীরা।
সূত্র জানায়, গত ৩০ মার্চ দুপুরে ১১ বছর বয়সী জিংক থান ময় বম চুলার পাশে বসে খাবার খাওয়ার সময় দুর্ঘটনাবশত তার পোশাকে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন তার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পিঠের একটি বড় অংশ দগ্ধ হয়। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে পরিবারটি স্থানীয়ভাবে সীমিত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
গত ৬ এপ্রিল লংলাইপাড়া আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল গ্রামের ওই এলাকায় গেলে দগ্ধ শিশুটির অবস্থার কথা জানতে পারে। পরে সেনা সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে উদ্ধার করে বান্দরবান সেনানিবাসের মিলিটারি ডেন্টাল অ্যান্ড সার্জিক্যাল (MDS) হাসপাতালে ভর্তি করে।
এমডিএস-এর উপ-অধিনায়ক জানান,
“শিশুটির পিঠের প্রায় ১৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে ড্রেসিং, অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। বর্তমানে সে অনেকটাই সুস্থ, সংক্রমণের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাকে আজ বাসায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে ফলোআপ চিকিৎসা চলবে।”
এ বিষয়ে সেনাজোনের এক প্রতিনিধি বলেন,
“ছোট্ট একটি শিশুর চোখে আমরা যন্ত্রণার পাশাপাশি বাঁচার আকুতি দেখেছি। পার্বত্য অঞ্চলে আমাদের কাজ শুধু নিরাপত্তা নয়, মানবিক সহায়তাও আমাদের দায়িত্বের অংশ। আমরা চাই, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যেন উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে।”
স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু নিরাপত্তার কাজই করছে না, পাশাপাশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সড়ক নির্মাণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা ও দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তার মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু একটি সুরক্ষা বাহিনী নয়—বরং এক মানবিক সহচর, যারা দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সবসময় প্রস্তুত।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
