বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গা সংকটকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপিয়ে দিতে মিয়ানমার সরকার রাখাইনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
 
                 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে মনগড়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি অযৌক্তিক অভিযোগ করছে দাবি করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে বাংলাদেশের ওপর রোহিঙ্গা সংকটকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাপিয়ে দিতে মিয়ানমার সরকার রাখাইনে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যাতে ভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা আর ফিরে না যায়। ২৪ নভেম্বর রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
‘গত ১৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সম্পূর্ণরূপে অসহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিয়েছে। এমনকি তারা নৃশংসতায় জড়িতদের জবাবদিহিতা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন।’ বলে অভিযোগ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং জন্মভূমিতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে না নিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে মিয়ানমার। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে- মিয়ানমারে একের পর এক শাসকদের বঞ্চনা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। আর এর সমাধানও পুরোপুরি মিয়ানমারের হাতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ব্যাপক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের কক্সবাজারের আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এর আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আরো প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা মিলে বাংলাদেশের কক্সবাজার বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে।
