সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ

সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ

সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গতকাল শনিবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকা পরিদর্শন করেন।

দেশের এই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ ও আহত সেনা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ

বিশেষ করে সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত সদস্যদের চিকিৎসা অবস্থা সম্পর্কে তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কাছ থেকে অবহিত হন।

এ সময় তিনি প্রত্যেকের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার খোঁজখবর নেন এবং তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ

এরপর সেনাপ্রধান ঢাকাস্থ বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান, যেখানে পবিত্র ঈদের দিনেও দায়িত্ব পালনরত সেনাসদস্যরা তাদের কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। তিনি প্রত্যেক ইউনিটে দায়িত্ব পালনরত সেনাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সেনাসদস্যরা সেনাপ্রধানকে সামনে পেয়ে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হন এবং তার আন্তরিক উপস্থিতি ঈদের দিনটিকে আরও অর্থবহ করে তোলে। সেনাপ্রধান ক্যাম্পগুলোর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং সার্বিক দায়িত্ব পালনের মান ও শৃঙ্খলার প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ

পরে তিনি সেনাসদস্যদের সঙ্গে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ঘরোয়া ও আন্তরিক পরিবেশে উভয়ের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।

অপরাহ্নে সেনা ভবনে আয়োজিত এক বিশেষ ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গ, দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উৎসবমুখর।

সেনাপ্রধানের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়: সামরিক ও বেসামরিক মহলে উৎসবের আবহ

অংশগ্রহণকারীরা সেনাপ্রধানের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সেনাপ্রধান শুধু একটি সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হিসেবে নয়, বরং একজন মানবিক ও দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে তার ভূমিকা তুলে ধরেন—যিনি অধীনস্থদের কল্যাণ ও মনোবল বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন, এমনকি উৎসবের দিনেও।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।