চট্টগ্রামের হেঁয়াকো থেকে দুই পর্যটক অপহরণ, একজন ছাড়া পেলেও খোঁজ মেলেনি অন্যজনের
![]()
নিউজ ডেস্ক
গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার হেঁয়াকো বাজারের একটি বোডিং থেকে অপহৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে বাবুল সিকদার (৪২) নামে এক পর্যটককে ছেড়ে দিলেও হেলাল উদ্দিন (৪৩) নামের অপর পর্যটকের এখনো খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে। মুক্তি পাওয়া বাবুল সিকদার ও নিখোঁজ হেলাল উদ্দিন উভয়েই রাজধানী ঢাকার বাসাবোর উত্তর মুগদাপাড়ার বাসিন্দা হলেও পেশায় বাবুল সিকদার একজন ঠিকাদার ও হেলাল উদ্দিন এনজিও কর্মকর্তা।
সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তারা ঢাকা থেকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আসেন ভ্রমনের উদ্দেশ্যে। খাগড়াছড়ি থেকে ফেরার পথে গত ২০ নভেম্বর বুধবার তারা দুজনেই ফটিকছড়ি উপজেলার হেঁয়াকো বাজারের একটি বোডিং এ উঠেন। এরপর গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার উক্ত বোডিং থেকেই তাদের অপহরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তরা তাদের দুজনকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে আলাদা আলাদা স্থানে নিয়ে যায় বলেও জানা যায়। পরে অপহৃতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তাদের পরিবারের নিকট ফোন করে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারীরা। ফোন পেয়ে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ঝর্ণা ও বন্ধু এনায়েত হোসেন পরদিন ২৩ নভেম্বর ভোর বেলায় হেঁয়াকো এসে পৌঁছেন। তারা অপহরণকারীদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য অপহরণকারীরা তাদের ৪টি বিকাশ নম্বর দেয়। টাকার পরিমাণ নিয়ে দরকষাকষির এক পর্যায়ে অপহরণকারিরা তাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর অপহৃত হেলালের স্ত্রী ভুজপুর থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান এবং লিখিতভাবে অভিযোগও দায়ের করেন। সেদিন রাতেই বাবুল সিকদারকে ছেড়ে দিয়ে মোবাইল ফোনে খবরটি তার স্ত্রীকে জানায় অপহরনকারীরা। পরে বাবুল শিকদারকে খুঁজে পায় পরিবারের লোকজন। তবে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তাৎক্ষনিকভাবে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মুগদাপাড়ায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
সূত্র মতে, বাবুল শিকদারকে ছেড়ে দিলেও অপহৃত এনজিও কর্মী হেলাল উদ্দিনকে ছাড়েনি অপহরণকারীরা। এখনও পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপহৃত হেলালের স্ত্রী ও এক পুত্র হেলালের খোঁজে বর্তমানে খাগড়াছড়ির গুইমারায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, অপহৃত’র স্বজনরা থানায় এসে ঘটনটি জানিয়েছেন, তবে লিখিত কোন অভিযোগ করেন নি বলেও জানান ওসি।