সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণ দাবিতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন

সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণ দাবিতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন

সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণ দাবিতে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জাতিগত বৈষম্য, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণের দাবি জানিয়েছে মারমা সচেতন নাগরিক সমাজ।

আজ রবিবার (৬ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, “সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন প্রকল্প বিতরণে মারমা, ত্রিপুরা ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতি চরম অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে।”

তাদের অভিযোগ, সুপ্রদীপ চাকমা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রকল্প বরাদ্দে চাকমা সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক আনুগত্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। প্রকল্প দেওয়া হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে।

সংগঠনটির দাবি, পার্বত্য তিন জেলায় চাকমা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ হলেও মারমার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ—তবুও বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধায় মারমা ও অন্যান্য সম্প্রদায়কে অবহেলা করা হচ্ছে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও তারা হুঁশিয়ার করেন।

মারমা সচেতন নাগরিক সমাজ সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছে, এরমধ্যে সরকার যদি দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেয়, তবে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

প্রসঙ্গত, এই প্রথমবারের মতো সরকারি উচ্চপর্যায়ে থেকে নিযুক্ত এক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এভাবে জাতিগত পক্ষপাত ও রাজনৈতিক পুনর্বাসনের সরাসরি অভিযোগ উঠল, যা পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের শান্তি ও সহাবস্থান নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।