এবার স্টারলিংকের মাধ্যমে ৬ মাসের মধ্যে পাহাড়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে চান সুপ্রদীপ চাকমা
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্টারলিংক ব্যবহার করে ডিজিটাল ক্লাসরুম ও ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেবেন। শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী ‘পাহাড়ি ফল মেলা-২০২৫’ সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা ঘোষণা করেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “যে কোনো অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ, বিদ্যুতের ঘাটতি বা ইন্টারনেটের অভাব মেটাতে আমরা সোলার প্যানেল ও স্টারলিংকের মাধ্যমে উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নিশ্চিত করব। এতে ডিজিটাল ক্লাসরুমে গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি সহ মূল বিষয়ের ভার্চুয়াল পাঠদান শুরু হবে।”
সরকারি বরাদ্দের বাইরে পার্বত্যবাসীর আর্থিক কষ্ট লাঘবে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি এ শিক্ষাব্যবস্থা চালু করলে, বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতি সঠিক পরিবেশ ও পর্যাপ্ত শিক্ষকতার সুযোগ মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১–৫ জুন “পাহাড়ি ফল মেলা”য় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার ৩০টি স্টল এবং উদ্যোক্তারা নিজ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফল, হস্তশিল্প এবং প্রাকৃতিক খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করেন। সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট সম্বলিত সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট বিতরণ করে চিকিৎসা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা যেমন সহজতর হবে, ঠিক তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে নিরাপত্তা ও নজরদারি এড়িয়ে যাওয়ার একটি নতুন উইন্ডো খুলে যেতে পারে। স্যাটেলাইট-ভিত্তিক এই নেটওয়ার্ককে স্থানীয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা একটি সুযোগ হিসেবে সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ব্যবহার করতে পারে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন করার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক তদারকি আরও জোরদার করতে না পারলে, ডিজিটাল ক্লাসরুমের এই উচ্চকল্প উদ্যোগই বিপরীতপ্রভাব ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, স্টারলিংকের উন্নয়নমূলক ও প্রযুক্তিগত আয়োজনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, গোয়েন্দা, স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে পারলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ই-লার্নিং প্রকল্প সত্যিই যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। অন্যথায়, স্টারলিংক যেমন প্রযুক্তির সুযোগ, তেমনি ভুল ব্যবহার হলে এটি পাহাড়ে রাষ্ট্রবিরোধী গোষ্ঠীর হাতে একটি বিপজ্জনক অস্ত্রে পরিণত হতে পারে।
সংবাদ সংশ্লিষ্ট ভিডিও: