মিয়ানমারে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সংঘর্ষে উত্তপ্ত নাইক্ষ্যংছড়ি
![]()
নিউজ ডেস্ক
নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের পিলার ৪৫ বরাবর মিয়ানমার অংশে ফের গোলাগুলির তীব্র শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে প্রায় ২০ মিনিট ধরে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও বাইশফাড়ি এলাকার সীমান্তবাসী। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩০ রাউন্ড গুলির শব্দ আসে মিয়ানমার অভ্যন্তরের ছেংছড়ি দিক থেকে।
সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রাম বোমবছড়ির বাসিন্দা রহমত, ফয়েজ ও আইয়ুব বলেন, “আমরা প্রতিদিন পাহাড়ে কাজ করি। হঠাৎ বিকেলে বিকট শব্দে গুলি চলার আওয়াজ আসে। ভয় পেয়ে ঘরে চলে আসি।”
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ছেংছড়ি সীমান্ত এলাকায় বর্তমানে আরাকান আর্মি (AA) নামের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ থাকলেও, সেখানে আরও দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবারের গোলাগুলির ঘটনাটি সেই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অংশ।
নাইক্ষ্যংছড়ির এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির ঘটনা আমাদের এলাকার নিরাপত্তায় তেমন প্রভাব ফেলেনি। তবে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি এবং বিজিবি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র একটি সূত্র জানায়, “গোলাগুলির শব্দ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সীমান্তে অতিরিক্ত নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছর শুরু থেকেই নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমার অংশে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, দখল-বেদখলের ঘটনা এবং গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে সীমান্ত এলাকার জনজীবনে আতঙ্ক বেড়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, “এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তা জোরদার এবং জরুরি সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
সীমান্তের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।