মিয়ানমারের নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছে ভারত

মিয়ানমারের নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছে ভারত

মিয়ানমারের নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছে ভারত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলে জানিয়েছে ভারত। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের বাড়তে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই সমালোচকরা একে ‘প্রহসনমূলক ভোট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ঘোষণা বার্তা দিচ্ছে, নয়াদিল্লি মিয়ানমারের নির্বাচনে সমর্থন জানাচ্ছে। মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং রোববার চীনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। তার জন্য এ সাক্ষাৎ ছিল এক বিরল কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা। কারণ ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিন আন্তর্জাতিক পরিসরে কার্যত একঘরে হয়ে আছেন।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রমালিকানাধীন গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানায়, বৈঠকে উভয় নেতা সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।

চার বছর আগে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ভোট জালিয়াতির অজুহাতে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত, যা এখনো চলমান।

মিয়ানমার আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে প্রথম দফার জাতীয় ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। অন্তর্বর্তী সেনাসমর্থিত প্রশাসন জানায়, তারা দেশজুড়ে ৩০০টিরও বেশি আসনে ভোট নেবে, যার মধ্যে এমন এলাকাও রয়েছে যেগুলো বর্তমানে সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি আশা প্রকাশ করেছেন আসন্ন নির্বাচন যেন “ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং সব পক্ষ এতে অংশ নেয়।”

এর একদিন আগে মিন অং হ্লাইং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সেখানে বেইজিং নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেয় বলে জানায় মিয়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম।

তবে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে। গত বছর ভোটার তালিকা প্রস্তুতের জন্য পরিচালিত জাতীয় জনগণনায় ৩৩০টির মধ্যে মাত্র ১৪৫টি টাউনশিপে জরিপ চালাতে সক্ষম হয়েছিল সামরিক প্রশাসন।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত ৯টি দল দেশব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে এবং ৫৫টি দল আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছে। সব দলই সেনাসমর্থিত নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়ে মাঠে নামছে।

কিন্তু সামরিকবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে হয় বাদ দেয়া হয়েছে, নয়তো তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ নির্বাচনকে সেনাশাসকদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার হাতিয়ার হিসেবেই দেখছে, যেখানে তাদের অনুগত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার পথ সুগম হবে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।