খাগড়াছড়ি–গুইমারায় সহিংসতায় ইউপিডিএফের উস্কানির অভিযোগ পিসিজেএসএস’র

খাগড়াছড়ি–গুইমারায় সহিংসতায় ইউপিডিএফের উস্কানির অভিযোগ পিসিজেএসএস’র

খাগড়াছড়ি–গুইমারায় সহিংসতায় ইউপিডিএফের উস্কানির অভিযোগ পিসিজেএসএস’র
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত সহিংস ঘটনার পেছনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী সংগঠন প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের উস্কানি ছিল বলে অভিযোগ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)। গতকাল রবিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন ও সুপারিশমালায় বলা হয়, ইউপিডিএফ পরিকল্পিতভাবে ওই আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যায় এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৬ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় এক জুম্ম কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে এক মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়। তবে সমাবেশ চলাকালে ইউপিডিএফের কিছু ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর পরদিন ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ওই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায়, যেখানে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

পিসিজেএসএস জানায়, ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল (বিএমএসসি) আন্দোলনের নেতৃত্ব দিলেও পরে সংগঠনটি ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বরের অবরোধ কর্মসূচি থেকে নিজেদের সংগঠনগতভাবে প্রত্যাহার করে নেয়। পিসিজেএসএসের দাবি, এই অবস্থান থেকেই স্পষ্ট হয়—বিএমএসসি নেতৃত্বাধীন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ইউপিডিএফ অন্য খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউপিডিএফের সমর্থক, পরামর্শক ও সহযোগী হিসেবে পরিচিত দেশ-বিদেশের কয়েকজন ব্লগার ও ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে বিভেদমূলক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়েছেন, যা মাঠপর্যায়ের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা করছে। ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে পুঁজি করে তারা শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজকে উস্কে দিচ্ছে এবং আন্দোলনের যৌক্তিক দাবি ভিন্ন খাতে নিয়ে যাচ্ছে।

পিসিজেএসএস তাদের প্রতিবেদনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, সহিংস ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে।

সংগঠনটি আরও উল্লেখ করে, পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান সংকটের মূল সমাধান নিহিত রয়েছে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে। রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে চুক্তি বাস্তবায়ন ছাড়া পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলেও প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।