দেশে মাদক আমদানিতে ১৪ মাসে ৯০০ কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার!
![]()
নিউজ ডেস্ক
আইনি মদদ পেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মাদক রপ্তানিতে প্রসার হচ্ছে মিয়ানমার। দেশটির অদক্ষ জনবলের কারনে নামকারা কোনও কিছু উৎপাদন বা রপ্তানি করতে না পারলেও নিরবে মাদক রপ্তানিতে নিজেদের রপ্তানির ঘাটতি পুষিয়ে নিচ্ছে। আর এর পেছনে স্বয়ং মদদদাতা তাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশে মাদক ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স গ্রহণ করলেও কিছু অসাধু লোকজনের কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না।মাদকের সিন্ডিকেট অনেকটা কঠিন হওয়ার কারনে তা সহজে নির্মুল ও করা সম্বব হচ্ছে না।যার ফলস্বরূপ প্রতিবছর মোটা অংকের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
গত একবছরে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোট প্রায় ৩ কোটি পিছ ইয়াবা জব্দ করেছে।আরও প্রায় ২৭ কোটি পিছ ইয়াবা দেশের অভ্যন্তরে লোকচক্ষুর আড়ালে ঢুকে পড়েছে। মিয়ানমার থেকে প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০ টাকা করে।যার মোট মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
এই হলো শুধু মিয়ানমারে টাকা পাচারের হিসাব। এর চেয়েও বেশী পরিমানে মাদক সিমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে দেশে আসে।দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে এসব মাদক আমদানি করে দেশের মাদকের সিন্ডিকেট। যার দরুন দেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে শুধু মাদকের পেছনে।
মাদকের মূল্য পরিশোধের জন্য মাদক সিন্ডিকেট রা মালয়েশিয়া, দুবাই,থাইল্যান্ড এর মতো দেশে গিয়ে লেনদেন করে।সময়ের ব্যাবধানে প্রতিবছর টাকা পাচারের পরিমান বাড়তেছে।
মাদক নির্মুল করতে না পারলে হয়তো এভাবেই প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা মাদকের পেছনে পাচার হয়ে যাবে।আমাদের অর্থ দিয়ে হয়তো অন্যদেশ তাদের অর্থনীতি চাঙ্গা করবে।আইনশৃঙ্খলা মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা প্রয়োজন।