রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির আত্নপ্রকাশ - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমারে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির আত্নপ্রকাশ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

২০১৭ সালের আগষ্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন ও ব্যাপক নির্যাতনের মুখে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এর আগেও একই ঘটনায় বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিলো আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির।

নিজ দেশ হতে নিগৃহীত হয়ে এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথো সমন্বয় করে মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বহুবার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। একাধিকবার প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হয়েও নানা জটিলতায় তা থমকে যায়। এরই মাঝে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করে, সম্প্রতি এতে নিজেদের সংযুক্ত করার প্রত্যয় জানায় নেদারল্যান্ড ও কানাডা।

এরই মাঝে শত নির্যাতনের পরেও মায়ানমারের সহিংসতাপূর্ণ আরাকানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের স্বার্থ রক্ষা, অধিকার ফিরিয়ে আনা ও মানবাধিকার অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয় নিয়ে নতুন করে সেখানে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA) নামের একটি সংগঠনের আত্নপ্রকাশ হয়েছে।

গত ১লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার একটি প্রেস বার্তার মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষনা দেয়।

প্রেস বার্তায় লিখিত ঘোষনায় আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি জানায়, যেসব রোহিঙ্গারা বর্তমানে আরাকানে অবস্থান করছে, সারাদেশের অন্যান্য জাতিস্বত্ত্বার মতো তাদেরও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনাই হবে সংগঠনটির মূল লক্ষ্য।

সংগঠনটি জানায়, তারা মিয়ানমারের আরাকানে অবস্থান করেই তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, অন্য কোন ভূখন্ড তারা ব্যবহার করবেনা। যেকোন ধর্ম ও জাতিস্বত্ত্বার অধিকার, ইজ্জত ও নিরাপত্তা বজায় রেখেই তারা কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। নিজ ধর্মকে হেফাজতের পাশাপাশি অধিকার আদায়ে যেকোন সৎ ও আদর্শিক দলের সাথে সমন্বয় বা জোট তৈরী করে কাজ করার ঘোষনাও দেয় সংগঠনটি। এছাড়া সংগঠনটি জানায়, আরাকানে অবস্থানরত সব ধর্মের মানুষকে বিভক্তি নয় বরং একত্রিত করেই তারা তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।