রাঙামাটি পৃথক অভিযানে দুই উপজাতি সন্ত্রাসী আটক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া আর্মি ক্যাম্পের বাজার চেকপোস্টের ডিউটি চলাকালীন সময়ে তল্লাশি চালিয়ে একজন ইউপিডিএফ (প্রসীত) সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম -থ, সিএনজি নং-১৪০৫২৫ থেকে নাছিম চাকমা (৩২) কে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার সাথে পাওয়া যায় একটি পিস্তল এবং ছয় রাউন্ড এ্যামোনিশন, নগদ১৬৬০ টাকা ও একটি আইটেল ছোট মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটকাকৃত রাঙামাটির জেলার কুতুবছড়ির হাজাছড়া এলাকার লক্ষীমহন চাকমার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন হতে কাউখালী উপজেলার এলাকাগুলোতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে বেপরোয়া তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এই নিয়ে স্থানীয় মানুষ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল। এখনো ঘাগড়া যৌথখামার, চেলাছড়া, নোয়া আদম, লেবারপাড়ায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক না‌ছিম চাকমার বিরু‌দ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হ‌চ্ছে।

অন্যিদিকে, জেলার কাপ্তাইয়ের চিৎমরমে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছে জেএসএস মূলদলের চাঁদা সংগ্রহকারী হ্লাসুইউ মারমা প্রকাশ জনি চৌধুরী (৩৮)। শুক্রবার ভোরে ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে।

চন্দ্রঘোনা থানা অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, কাপ্তাই সেনা জোন ও চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫টি বন মামলার পলাতক আসামি জনি চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। সে স্থানীয় বাচিং মং মারমার ছেলে। ৫টি বন মামলার পলাতক আসামী তিনি। দূর্গম পাহাড়ে জেএসএসের চাঁদা সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জনিকে রাঙামাটি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।