হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৪১
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
হাইতির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত ৯ হাজার ৯শ ১৫ জন। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। নিহতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার কার্যক্রম এখনও চলছে।
আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা দিতে।
শনিবারের এ ঘটনায় দেশটির হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়ে। ১১ বছর আগে হাইতি ভূমিকম্পে চরম বিপর্যয়ে পড়েছিল। সে সময় দুই লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। সেই ক্ষতি এখনও পুষিয়ে নিতে পারেনি দেশটি। এর মাঝেই এবারের ভূমিকম্পে আবারও বিধ্বস্ত হলো দরিদ্র দেশটি।
এদিকে, হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন।
স্থানীয় সময় গত শনিবার সকালে হাইতির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।