আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষ
নিউজ ডেস্ক
অসময়ের আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত তিস্তাপাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুই পাড়ে পানিবন্দি লাখো মানুষ। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় সকাল থেকে পানি কমে বিপৎসীমার অনেক নীচে আসলেও এখন রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গঙ্গাচড়া সড়কে দেখা দিয়েছে ধস। এতে লালমনিরহাটের সঙ্গে রংপুরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
পূর্বাভাস ছাড়াই হঠাৎ বন্যার কবলে লালমনিরহাট-নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের তিস্তাপাড়ের মানুষ।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, গত কয়েকদিন উজানে ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, আসামসহ বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়। এই পানির ঢল তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমর দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। অতীতে সব রেকর্ড ভেঙে মাত্র ৯ ঘণ্টায় অস্বাভাবিক হারে ২০০ সেন্টিমাটর পানি বাড়ে তিস্তায়। এতে বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যায় পানি।
তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বুধবার বিকেল থেকে কমতে থাকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানি। কিন্তু এবার রংপুর অংশে পানি বেড়ে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া।
তবে তিস্তার পানি নামার সাথে সাথে চাপ বাড়বে নিম্নাঞ্চলের নদ-নদীতে। ফলে যমুনার পানি আগামী কয়েকদিন কিছুটা বাড়লেও বিপৎসীমা অতিক্রম করবে না।
আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলছেন, দেশে বন্যা সতর্কতার অনেকটাই নির্ভর করে ভারতের উজানে বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়ার তথ্যের ওপর। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্যের আদান-প্রদান না হলেই সঠিক পূর্বাভাস দিতে সমস্যায় পড়তে হয়।