র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সাহায্যের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলো ভারত
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে দিল্লি কোনও সহযোগিতা করবে কিনা—সে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ বিষয়ে নির্দিষ্ট এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি যেমন নিশ্চিত করেননি, আবার অস্বীকারও করেননি।
এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সপ্তাহেই মন্তব্য করেছিলেন, র্যাবের ওপর থেকে আমেরিকা যাতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়—সে ব্যাপারে প্রতিবেশী ভারতের সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ।
যদিও তিনি এর বেশি কিছু ভেঙে বলেননি, তবে স্পষ্টতই তার ইঙ্গিত ছিল যেহেতু ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো, সেই সুসম্পর্কটাকে কাজে লাগিয়েই এই নিষেধাজ্ঞাজনিত অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে চাইছে ঢাকা।
সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করেই দিল্লিতে আজকের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘ভারত কি সত্যিই বাংলাদেশের কাছ থেকে এ ধরনের কোনও অনুরোধ পেয়েছে? আর পেলে ভারত কীভাবেই বা সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে?’
জবাবে অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় রয়েছেন। ওই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও একে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করবেন– বস্তুত একটু বাদেই বৈঠকগুলো শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে এখানে বসে বিষয়টা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন বোধ করছি না। আমরা আগেই কোনও অনুরোধ পেয়েছিলাম কিনা, বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হলো কিনা– সেটা বলাটা এখন ঠিক হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকটা তো আগে হোক। তারপরে না হয় দেখা যাবে আমরা কোনও ডিটেলস শেয়ার করতে পারি কিনা! তবে হ্যাঁ, আমরাও সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট দেখেছি যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের একটা মন্তব্য করেছেন।’
সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যোগ করেন, ‘তবে এটাও বলার যে সত্যিই কোনও দেশ যদি আমাদের এরকম অনুরোধ জানিয়েও থাকে এবং তার ভিত্তিতে আমরা কোনও পদক্ষেপ নিয়েও থাকি– সেটা বোধহয় আমরা প্রকাশ্যে নাও জানাতে পারি।’
‘তাই বলবো, আপনারা বরং মি. জয়শঙ্করের ঢাকা সফর শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। দেখা যাক, আমরা আদৌ কিছু জানাতে পারি কিনা’—বলেন অরিন্দম বাগচী।
দিল্লিতে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না-করলেও মুখপাত্র একবারের জন্যও তা কিন্তু অস্বীকারও করেননি। ফলে পর্দার আড়ালে দিল্লি ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে, এমনটা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।