বান্দরবানে এএলপি কর্তৃক জেএসএস কর্মীকে গুলি করে হত্যা ও ১ জনকে অপহরণ!
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
বান্দরবানে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে জনসংহতি সমিতির এক কর্মী নিহত ও অপর এক কর্মীকে অপহরণ করার খবর পাওয়া গেছে। ৭ মে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের তাইং খালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ।
নিহত ব্যক্তির নাম বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫)। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়। তিনি তাইং খালী বাজারে মুদির ব্যবসা করতেন তিনি। অপহৃত ব্যক্তির নাম পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা (৩২)। ওই এলাকার ৯নং রাবার বাগানের শৈলতন পাড়া থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ঐ এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বান্দরবান জেলা সদর হতে সেনাবাহিনীর টহল দল ঐ এলাকায় গিয়েছে। রাজবিল ক্যাম্প ও সদর থানা থেকে পুলিশও গিয়েছে সেখানে।
এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাং প্রু মারমা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে সেখানে লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মংএ নু মারমা জানান, মুদি দোকানী বিনং তঞ্চঙ্গ্যা রাতে তার দাদা শ্বশুড়ের বাসায় ছিল। সেখান থেকে সন্ত্রাসী ডেকে নিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। অন্যদিকে একই সময়ে ৯নং রাবার বাগান এলাকার শৈলতন পাড়ার পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো কেউ বলতে পারছে না।
স্থানিয়রা জানিয়েছে, নিহত ও অপহৃত দুজনই জনসংহতি সমিতির সমর্থিত। জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
তবে জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সভাপতি উছোমং মারমা জানিয়েছেন, দুজনই তাদের কর্মী এবং এএলপি (আরাকান লিবারেশন আর্মি) সমর্থিত স্থানীয়ভাবে মগ বাহিনী নামের একটি গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে।
এদিকে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অভিযানে গিয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১৪ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা তাইংখালী বাজারে অংক্যচিং নামের জনসংহতি সমিতির এক নেতাকে গুলি করলে সে মারাত্মক আহত হয়। হঠাৎ করে বান্দরবানের রাঙ্গামাটি সীমান্ত সংলগ্ন রাজবিলা এলাকাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠায় সেখানকার জনসাধারণ এখন আতংকের মাঝে দিন কাটাচ্ছে