কক্সবাজারে ২৪ দেশের সেনাবাহিনী প্রধানদের গোলটেবিল বৈঠক - Southeast Asia Journal

কক্সবাজারে ২৪ দেশের সেনাবাহিনী প্রধানদের গোলটেবিল বৈঠক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দেশে শুরু হয়েছে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস)। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারের হোটেল সী পার্লে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক। এতে বিভিন্ন দেশের সেনাপ্রধানরা অংশ নেন।

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী। সেমিনারের প্রতিপাদ্য হলো ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনসহ ২৪ দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন এ সেমিনারে। এ ছাড়া শান্তিরক্ষা মিশন ও এর করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতৃত্বের পেশাদারত্বের উপর আলোদা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সম্মেলন অত্র অঞ্চলের স্থলবাহিনীগুলোর বৃহত্তম সমাবেশ। যার মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পারিক বোঝাপড়া, সংলাপ ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করা।

এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সদস্যরা বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন ও এর করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতৃবৃন্দ পেশাদারিত্বের উপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

পরে অংশগ্রহনকারী সামরিক কর্মকর্তারা উখিয়ার কুতুপালংয়ে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শন ও তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এ সময় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা আগত প্রতিনিধি দলকে সমস্যা ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।

এ ছাড়া ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে ব্রিফিং করেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিগণ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।

গতকাল সোমবার শুরু হওয়া আইপিএএমএস শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার।