ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক - Southeast Asia Journal

ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

জাতীয় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক হলেন কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার বাসিন্দা মেজর জেনারেল হামিদুল হক।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

হামিদুল হক বর্তমানে সিলেটে অবস্থিত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদের কৃতি সন্তান হামিদুল হক। তিনি মরহুম গোলাম মুর্তজা ও আঙ্গুর আরা বেগমের প্রথম সন্তান। সাংসারিক জীবনে হামিদুল হক ৩ ছেলে সন্তানের জনক।

১৯৯০ সালে কমিশন পাওয়া হামিদুল হক ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কলেজ সেক্রেটারি এবং কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেজর জেনারেল হামিদুল হক কক্সবাজারের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সিনিয়র আইনজীবী হাবিবুর রহমানের মেঝো মেয়ের জামাতা।

তিনি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি, সদর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. রেজাউর রহমান, কক্সবাজার জেলা স্বাচিপের সদস্য সচিব ডা. মারুফ উর রহমান ও অ্যাডভোকেট সেতারাত জাহান সেতুর ভগ্নিপতি।

মেজর জেনারেল হামিদুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চৌকস কর্মকর্তা। তিনি মিরপুর স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি এবং পাকিস্তান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এনএসডব্লিউসি কোর্স সম্পন্ন করেন।

হামিদুল হক ঈদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীর ২২তম লং কোর্সের একজন ‘চৌকস সেনা কর্মকর্তা’ হিসেবে পরিচিত তিনি।

বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে কমিশন লাভ করেন। আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি ও সামরিক বিষয়ে দুইটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্বরত ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হামিদুল হক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেধাবী, চৌকস এবং দেশপ্রেমিক অফিসার হিসেবে সুনামের সাথে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর এ জি এস ও – ১ এবং পরিচালক (আইএবি) এবং ঘাঁটাইল ক্যান্টনমেন্টে কর্নেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এ ডাইরেক্টিং স্টাফ ও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে স্টাফ অফিসার ছিলেন।

জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন সিয়েরা লিওনে ও সুদানের দারফুরে ডেপুটি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হামিদুল হক। তিনি বরিশাল শেখ হাসিনা ক্যান্টমেন্ট এ স্টেশন কমান্ডার, মিরপুর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কলেজ সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন এবং পাকিস্তানে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন মেজর জেনারেল হামিদুল হক।

তিনি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের মেজো কন্যা নূছরাত জাহানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে ইফরাদ, ইশরাক, ইশফার নামে তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। খুব সুখেই কাটছে নূছরাত-হামিদের দাম্পত্য জীবন।

বাকি কর্মজীবন যাতে সফলতা ও সুনামের সাথে কাটাতে পারেন সেজন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন মেজর জেনারেল হামিদুল হক।