পদ্মার ভাঙ্গন রক্ষায় কাজ করছে সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্ক
পদ্মা নদীকে বলা হয় সর্বনাশা। আবারো সেই সর্বনাশা নদীরই রূপ দেখছেন ঢাকার দোহারের মৈনটঘাটের মানুষ। হঠাৎ পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত মৈনটঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে নদী তীরবর্তী মানুষ চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে ভাঙন রোধে গতকাল সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সরজমিন দেখা যায়, মিনি কক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাটসহ আশেপাশের এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। প্রতিদিনই ভাঙছে এলাকার কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ৪ দিনে পদ্মার ভয়াল গ্রাসে নদীতে বিলীন হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানপাট, ভ্রাম্যমাণ রেস্তরাঁ, মৈনটঘাট জামে মসজিদ, লঞ্চঘাটসহ একাধিক স্থাপনা। নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ কামাল বলেন, ৩-৪ দিন ধরে আতঙ্কে আছি। সারারাত ঘুমাতে পারি না। দোকানেই বসে থাকি।
কখন আমার স্বপ্নের পদ্মা বিলাস হোটেলটি ভেঙে যায়। দেলোয়ার নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ৩ দিনে তিনবার দোকান সরিয়েছি, এখন আমরা ক্লান্ত।
সেনাবাহিনী ভাঙন রোধে কাজ করছে। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাঙন রোধ করতে পারবে সেনাবাহিনী।
দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দোহারে পদ্মার ভাঙন রোধে সালমান এফ রহমান দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ৩-৪ দিন ধরে মৈনটঘাটে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমাদের এমপি মহোদয় সংবাদ পেয়েই মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সালমান এফ রহমানের নির্দেশে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে কাজ চলছে।