মিয়ানমারে শরণার্থী ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯ - Southeast Asia Journal

মিয়ানমারে শরণার্থী ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে রাতের আঁধারে একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করেছে সামরিক বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধও রয়েছেন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬ জন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চীনের সীমান্তবর্তী কাচিনের লাইজা শহরের কাছে একটি শরণার্থী শিবিরে সামরিক হামলা চালানো হয়। কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) কর্নেল নাও বু বলেন, ‘আমরা শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিসহ মোট ২৯ জনের মৃতদেহ পেয়েছি।’ যে শরণার্থী শিবিরে হামলা হয়েছে সেটি কেআইএ সদর দফতর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দশক ধরে কেআইএ এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, অন্ধকারে উদ্ধারকারীরা মৃতদেহ উদ্ধার করছেন। পাশে দেখা যাচ্ছে বাঁশ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষের স্তূপ। এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) মানবাধিকার মন্ত্রী অং মিও মিন এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্তত ৫৬ জন আহত হয়েছেন।

কেআইএর কর্নেল নাও বু বলেন, শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র দলটি কী ধরনের হামলা করেছে তার তদন্ত চলছে। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বিমানের কথা শুনিনি। সামরিক বাহিনী হামলায় ড্রোন ব্যবহার করেছে কি না তা তারা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। এরপরেই মিয়ানমার সংকটে নিমজ্জিত হয়। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে বিমান হামলা, আর্টিলারি শেলিং এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এছাড়া, গত বছরের অক্টোবরে কাচিনে কেআইএ আয়োজিত একটি উৎসবে সামরিক বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।