লাদাখ সীমান্তে সামরিক স্থাপনা বাড়াচ্ছে চীন: পেন্টাগন - Southeast Asia Journal

লাদাখ সীমান্তে সামরিক স্থাপনা বাড়াচ্ছে চীন: পেন্টাগন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রেখা (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা) বরাবর নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে চীন। লাদাখ সীমান্তে বেইজিং হেলিপ্যাড, নতুন রাস্তা, গোপন সুড়ঙ্গ এমনকী ছোট এয়ারস্ট্রিপ তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।

প্রতিবেদনে পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০২২-এ গালওয়ানে ভারত এবং চীনা সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিকাঠামো গড়তে সক্রিয়। ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসেছে ঠিকই, কিন্তু চীন ভারতীয় সীমান্তে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রক্রিয়া থামায়নি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

বেশ কয়েক দফা শান্তি বৈঠক হলেও সেই বৈঠকের কোনও প্রভাব চীনা সেনা সমাবেশে পড়েনি বলে দাবি পেন্টাগনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাদাখ সীমান্তে চীন স্থায়ী সুড়ঙ্গ, নতুন রাস্তা, প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহৃত এয়ারপোর্ট এবং হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চালাচ্ছে। চীনের ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড থিয়েটারের প্রচুর সেনা ভারত সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, শুধু লাদাখ নয়, ডোকলামেও একই রকম সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এমনকী ভারতীয় ভুখণ্ডে চীন যে গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে পেন্টাগনের রিপোর্টে।

পেন্টাগন দাবি করেছে, চীন ভারতীয় সীমান্তে রীতিমতো যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যা নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগজনক। তবে নয়াদিল্লি এখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

চীন গত এক বছরে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন দাবি করেছে যে, এখন চীনের প্রায় ৫০০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেইজিং আশা করছে ২০৩০ সালের মধ্যে এক হাজার পারমাণবিক অস্ত্র নিশ্চিত করে নিজস্ব মজুত দ্বিগুণ করবে।

তবে এসব অস্ত্রের ঝুঁকির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীন এখনও ‘নিজে হামলার শিকার না হলে আগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার’ নীতিতে অবিচল রয়েছে। চীনের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত প্রাক্কলনকে ছাড়িয়ে গেলেও তা এখনো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।