টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ইয়াবা ২ কেজি আইস জব্দ - Southeast Asia Journal

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ইয়াবা ২ কেজি আইস জব্দ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে ২ কেজি ১২৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৭ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরফ কল এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বরফ কল এলাকায় কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে আসতে দেখে। এসময় টহলদল চোরাকারবারীদের ধাওয়া করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের হাতে থাকা একটি পোটলা মাটিতে পড়ে যায় এবং চোরাকারবারিরা রাতের অন্ধকারের সুযোগে ঘন কেওড়া বাগানের ভেতরে পালিয়ে গেছে।

টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ১টি প্লাস্টিকের পোটলার ভেতর থেকে ২ কেজি ১২৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এছাড়া অপরদিকে একইদিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর দিকে আলী আকবরের ঘের নামক এলাকায় মাদক পাচারকারিরা পাচারের উদ্দেশে কেওড়া বাগানের ভেতরে ইয়াবা ট্যাবলেট লুকিয়ে রাখে। এমন সংবাদে নাজিরপাড়া বিওপি এবং সাবরাং বিওপির দু’টি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকায় যেয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের ভেতর তল্লাশি অভিযান পরিচালনা শুরু করে। তল্লাশিকালে টহলদল আলী আকবরের ঘেরের পশ্চিম পার্শ্বে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঘন কেওড়া বাগানে ব্যাপক তল্লাশি করে পূর্ব থেকেই প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে কালো পলিথিনে মোড়ানো ৩টি প্যাকেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উদ্ধার করা প্যাকেটগুলোর ভেতর থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে টহলদল দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোনো চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।