মিয়ানমারে ৫০ দিনে বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দা
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গত ৫০ দিনে দেশটিতে কমপক্ষে ৬ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। গত ২৭ অক্টোবর অপারেশন-১০২৭ শুরু হওয়ার পর থেকে এই বিপুল সংখ্যক নাগরিক অভ্যন্তরীণভাবে বা দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়। খবর ইরাবতি।
সর্বশেষ তথ্য অনযায়ী, মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশটির তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের সহিংস সংঘাত অষ্টম সপ্তাহর মতো চলছে। দেশটির সাতটি রাজ্য এবং পাঁচটি অঞ্চল থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের (আইডিপি) সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর দেশটির ক্ষমতায় আসে সশস্ত্র বাহিনী। এর পর সেনাবাহিনীর নিপীড়নমূলক অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়।
মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর দেশটির সামরিক বাহিনী কমপক্ষে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র আমদানি করেছে। অধিকাংশ অস্ত্র রাশিয়া ও চীনের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে পরিচালিত কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা। জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানির মধ্যে ছিল অস্ত্র, সামরিক-বেসামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি ও অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ। এগুলো ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমদানি করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। প্রতিবেদনে ১২ হাজার ৫০০টির বেশি স্বতন্ত্র ক্রয় বা রেকর্ড করা চালান চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো সরাসরি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বা সেনাবাহিনীর পক্ষে কাজ করা দেশটির অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে গেছে।