শেখ রাসেল সেনানিবাসে একটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করলের সেনাবাহিনী প্রধান
নিউজ ডেস্ক
শেখ রাসেল সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে একটি ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে নবগঠিত ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর নতুন ইউনিটের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং বীর শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে দেশের স্বাধীনতা।
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় প্রণীত হয় ‘ফোর্সেস গোল- ২০৩০’। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আরেক ধাপ বাস্তবায়িত হলো।’
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সেনা সদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া, সেনাসদর ও সাভার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণসহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য পদবির কর্মকর্তাগণ, জেসিও, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যবৃন্দ, অসামরিক কর্মচারীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে পৌঁছলে জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বরিশাল এরিয়া সেনাপ্রধানকে স্বাগত জানান। পরবর্তীতে শফিউদ্দিন আহমেদ বরিশাল এরিয়ার সকল পদবির সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিদায়ী দরবার গ্রহণ এবং মতবিনিময় করেন। দরবার শেষে, শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সকল পদবির কর্মকর্তাগণ, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ সামরিক রীতিতে সেনাবাহিনীর প্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানায়।
শেখ রাসেল সেনানিবাসে ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে যান এবং নড়াইলের লোহাগড়ায় ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি শাখা উদ্বোধন করেন। পরে মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
এ সময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তাগণ, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।