খাগড়াছড়ির রামগড়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য আটক!
 
                 
নিউজ ডেস্কঃ
খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী সাবেক মহকুমা রামগড়ে সাম্প্রতিক ৩টি চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় যখন সবত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা, ঠিক তখনি আবারো দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কমপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আটক করেছে রামগড় থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃৃহস্পতিবার (১৬ আগষ্ট) রাত ৩ টা থেকে সাড়ে ৩ টার মধ্যে পৌরসভার কমপাড়া এলাকার চাল ব্যবসায়ী মোঃ ইউসুফ এর বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে সবার হাত পা বেঁধে জিম্মি করে ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা, সাড়ে ৬ ভরি স্বর্ণ ও ৩টি মোবাইল সেট নিয়ে যায় ডাকাতরা। ঘটনার পর পুলিশ অভিযানে সকাল সাড়ে ৫টার সময় সোনাইপুল ফরেনার্স চেক পোষ্টের সামনে দিয়ে সিএনজি যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সন্দেহজনক ৩জনকে আটক করে তল্লাশি করে ২ লাখ ৫৭ হাজার ১শত ৯৫ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলো রামগড়ের তৈছালাপাড়া মৃত আবদুল সালাম এর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫), নোয়াখালী পশ্চিম শুলকিয়া গ্রামের মৃত চৌধুরী মিয়ার ছেলে মোঃ শাহ আলম টুকু (৩৫) ও মিরশ্বরাই উপজেলার পশ্চিম মলিয়াইশ গ্রামের মৃত আহসান উল্যাহর ছেলে নুরুন্নবী (৩০)। পরে আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী ও ডাকাত সিন্ডিকেটের প্রধান সমন্বয়কারী রামগড়ের তৈছালাপাড়া গ্রামের নুরুল আমিন এর ছেলে এবং রামগড় পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের কথিত সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩৯)কে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

ডাকাত দলের সদস্য নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আগের রাতে তৈছালাপাড়া বনবীথি বাগানে নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে বসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনা করা হয়।
রামগড় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাসেল ফরাজী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে জানান, রামগড় পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের কোন অনুমোদিত কমিটি নেই, কেউ যদি নিজেদেরকে পৌর কমিটির সভাপতি সম্পাদক বলে দাবী করেন তা সম্পূর্ন তার নিজস্ব ব্যাপার। এর দায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেবেনা।
রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ জনান, ডাকাতির সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলসহ রামগড়ের সবকটি চেকপোষ্টে নিরাপত্তা জোরদার করে তাল্লাশি শুরু করলে ভোর রাতে ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, এরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য। এদের প্রত্যেকের নামে একাধিক চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় এরা জড়িত। এদের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় ডাকাতির মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
