লেবাননে ইসরায়েলের নজিরবিহীন পেজার হামলা, একসঙ্গে আহত প্রায় ৩ হাজার

লেবাননে ইসরায়েলের নজিরবিহীন পেজার হামলা, একসঙ্গে আহত প্রায় ৩ হাজার

লেবাননে ইসরায়েলের নজিরবিহীন পেজার হামলা, একসঙ্গে আহত প্রায় ৩ হাজার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের উপর ছোট্ট ডিভাইস পেজারের মাধ্যমে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। পেজার নামের এই ডিভাইসটি মোবাইল ফোনের চেয়েও ছোট। এছাড়া এটি ব্যবহারে লাগে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননে ছোট আকারের যোগাযোগের যন্ত্র পেজারে বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে। যা সারাদেশে প্রায় একসঙ্গে ঘটে। এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে থাকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। এছাড়া অনেক সাধারণ মানুষও ব্যবহার করেন। এটির মাধ্যমে বার্তা পাঠানো যায়।

পকেটে ও হাতে থাকা এই যন্ত্র বিস্ফোরণের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ আহত হওয়ার জন্য জন্য দখলদার ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের সরকার।

বিবিসি জানিয়েছে, আহতদের রক্তদানের জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হিজবুল্লাহ হুমকি দিয়েছে, পেজারের মাধ্যমে চালানো হামলার উপযুক্ত জবাব ইসরায়েলকে দেওয়া হবে। গত এক বছর ধরে সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। কিন্তু এবার একযোগে দেশটিতে বড় হামলা চালিয়েছে তারা।

পেজার কী? যেটির মাধ্যমে হামলা চালাতে সক্ষম হলো ইসরায়েল

পেজার হলো একটি তারবিহীন যোগাযোগের ডিভাইস। এটি দিয়ে বার্তা আদানপ্রদান করা যায়। এতে লাগে না কোনো ইন্টারনেট।

মোবাইল ফোন সহজলভ্য হওয়ার আগে পেজার ব্যবহারের চল ছিল। তখন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যখাতে এটির ব্যবহার দেখা যেত। পেজার দুই ধরনের হয়। একটির মাধ্যমে শুধুমাত্র বার্তা পাওয়া যায়। আরেকটির মাধ্যমে বার্তা পাওয়া এবং পাঠানো দুটোই করা যায়। ২০০০ সালের পর মোবাইল ফোনে বাজায় সয়লাব হয়ে যাওয়ার পর পেজারের ব্যবহার একেবারেই নাই হয়ে যায়।

লেবাননে ইসরায়েলের নজিরবিহীন পেজার হামলা, একসঙ্গে আহত প্রায় ৩ হাজার

তবে চলতি বছরের শুরুতে হিজবুল্লাহ ব্যাপকভাবে পেজার ব্যবহার শুরু করে। কারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে দখলদার ইসরায়েলিরা তাদের সহজেই ট্র্যাক করতে পারত। এ কারণে নেটবিহীন পেজার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে তারা। গতকাল মঙ্গলবার লেবাননে হামলার পর পেজার বিষয়টি আবার নতুন করে সামনে চলে এসেছে।

সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়া জানিয়েছে, যেসব পেজার বিস্ফোরিত হয়েছে সেগুলো পাঁচ মাস আগে লেবাননে আসে। এই ডিভাইসগুলো কোনোভাবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নিয়ন্ত্রণে যায়। এরপর তারা এগুলোতে অতি উচ্চ বিস্ফোরক স্থাপন করে। এরপর সেগুলো লেবাননে পাঠায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল সুযোগ বুঝে এসব পেজারে বিস্ফোরণ ঘটাবে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা।

পেজারের মাধ্যমে চালানো হামলায় লেবাননে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য দখলদার ইসরায়েলকে দায়ী করে হিজবুল্লাহ হুমকি দিয়েছে তারা উপযুক্ত জবাব দেবে। তবে জবাবটা কী হবে সেটি নিশ্চিত নয়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।