বাংলাদেশে বসে স্বদেশী ইউটিউব চ্যানেল চালায় রোহিঙ্গারা!
![]()
নিউজ ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কক্সবাজারের টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে বসেই চালাচ্ছে নিজ দেশী ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর এসব মাধ্যমের ভিডিও পাঠানো হয় ক্যাম্প থেকেই। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মহা সমাবেশসহ রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানান খবরাখবর সম্পরচার করা ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে।
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘুরে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাংলাদেশি টিভি ও অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেলের চেয়ে মিয়ানমারের চ্যানেলের কদর বেশি রোহিঙ্গাদের। তাই দেশে-বিদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারাও তাদের নিজস্ব চ্যানেলকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মিয়ানমার ভিত্তিকএ রোহিঙ্গাদের পছন্দের অনলাইন টিভিগুলো হচ্ছে , ‘রোহিঙ্গা পিস টিভি’, ‘রোহিঙ্গা নিউজ আরাকান টিভি’,এ ‘আরাকান আর ভিশন’, ‘আরাকান টাইমস’, ‘রোহিঙ্গা নিউজ’, ‘আরাকান টাইম টুডে’, ‘রোহিঙ্গা টিভি’, ‘আরাকান নুর’, ‘এএনএ টিভি’। এসব টিভিতেএএ খবর ও অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় রোহিঙ্গা ভাষায়। সরাসরি ওয়েবসাইটে গিয়ে অথবা ইউটিউবে এসব চ্যানেল দেখা যায়। এছাড়া অনেক টিভিরই ফেসবুক পেজ রয়েছে।
জানা গেছে এসব চ্যানেলের বেশিরভাগ চ্যানেলগুলো পরিচালিত হয় সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব চ্যানেল পরিচালিত হয়। এবং এসব চ্যানেলের জন্য ফুটেজ পাঠানো হয় রোহিঙ্গা শিবির থেকে।এ উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মধ্যে এসব টিভি চ্যানেলের এক ধরনের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া এসব ভিডিও বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে শেয়ার করেছে রোহিঙ্গারা। এসব ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রবাসী রোহিঙ্গা ও শিবিরে থাকা কিছু যুবক।
গত ৫ দিন আগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান লোকাল প্রশাসন এবং ক্যাম্প ঘুরে প্রশাসন কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন,ু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনকে নিতে হবে। এজন্য রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল সিমও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যাতে ২৫ আগস্টের মতো মোবাইল ব্যবহার করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা জড়ো হতে না পারে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের অনলাইনভিত্তিক কিছু চ্যানেলের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শিবিরে সাড়ে পাঁচ লাখ লোকের হাতে মোবাইল ফোন থাকার তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।