কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

নিউজ ডেস্ক
ব্যাপক সহিংসতার পর কঙ্গোতে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে বিদ্রোহী সংগঠন এম-২৩।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ‘মানবিক বিবেচনায়’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে বলে জানায় প্রতিবেশী দেশ রোয়ান্ডা সমর্থিত এই সশস্ত্র সংগঠন। এর আগে তীব্র সহিংসতায় মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে অন্তত ৯০০ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
কঙ্গোতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা নির্বিঘ্নে প্রবেশ ও হতাহত নিরসনে চরম আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে এম-২৩।
এর আগে গত সপ্তাহে কঙ্গোর দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী বাণিজ্য শহর গোমা দখল করে সংগঠনটি। গোমায় প্রায় ২ লাখ মানুষের বাস।
বিদ্রোহীরা কঙ্গোর অন্যান্য অঞ্চল দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাবে জানালেও বাকাভু এলাকা থেকে অবস্থান প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এম-২৩’র মুখপাত্র লরেন্স কানুইকা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই- বাকাভু অঞ্চল দখল করা হবে না। তবে দেশের নাগরিকদের স্বার্থরক্ষায় আমাদের জায়গা থেকে তৎপর অবস্থান বহাল থাকবে।’
বিদ্রোহীদের ঘোষণার জবাবে কঙ্গো প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে শান্তিচুক্তির অধীনে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে অতীতে কঙ্গো প্রশাসন শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি এম-২৩ ও রোয়ান্ডার।
আফ্রিকার প্রভাবশালী দেশগুলোর নেতৃত্বে আয়োজিত এক সম্মেলনে রোয়ান্ডা ও কঙ্গোর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত এসেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উন্নত রাষ্ট্রের জোট জি-৭-এর কর্মকর্তারা বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ‘তাৎক্ষণিক, নিরাপদ ও বাধাহীন’ পথে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
এদিকে কঙ্গোর বিদ্রোহীদের রোয়ান্ডা প্রায় ৪ হাজার সেনা সহায়তা দিচ্ছে। কঙ্গোতে অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টারত শতাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে এম-২৩’র প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ খনিজসম্পদের আধিপত্য নিতে সংগঠনটি সশস্ত্র তৎপরতা বহাল রেখেছে, মত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর।
দেশটিতে চলমান সহিংসতায় কয়েক লাখ মানুষ বসতি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ রোয়ান্ডায় আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশটিতে কয়েক দশক ধরেই এ ধরনের সহিংসতা লক্ষ্য করা যায়। এম-২৩’র দাবি, কঙ্গোর সংখ্যালঘু তুতসি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় তারা সশস্ত্র অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডা দেশে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে কঙ্গোকে।
তবে এসব দাবি নাকোচ করেছে কঙ্গো প্রশাসন।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।