সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়, রাহুলের মন্তব্য প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়, রাহুলের মন্তব্য প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়, রাহুলের মন্তব্য প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধান
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইটের মাধ্যমে দিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছে।’ তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন যে সেনাবাহিনীকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।

সেনাপ্রধান এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। তাঁর কাছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি, রাহুল গান্ধী সংসদে দাবি করেছিলেন সেনাপ্রধান ইতিমধ্যে বলেছেন, ‘চীন ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে।’ তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রাহুল গান্ধীর এই দাবি ইতিমধ্যেই খণ্ডন করেছেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘আমি মনে করি, বিষয়টির রাজনৈতিক উত্তর ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইটের মাধ্যমে দিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিবৃতি দিয়েছে। তবে আমি মনে করি, সেনাবাহিনীকে রাজনীতির বাইরে রাখার চেষ্টা করা উচিত।’

জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, ‘ভারত-চীন সীমান্তে উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে।’ তিনি বলেন, ‘২০০৭ বা ২০০১ সালের দিকে ফিরে গেলে দেখা যাবে, তখন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত, সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ছিল নগণ্য। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা এগিয়েছি, চীনও এগিয়েছে।’

সেনাপ্রধান ব্যাখ্যা করেন, সীমান্তে সেনাদের জন্য আবাসন ও অবকাঠামো তৈরি করার প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষই সক্রিয়। তিনি বলেন, ‘আমরা বিতর্কিত অঞ্চলে যাইনি, বরং আমরা আমাদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় ও আরামদায়ক করেছি। উভয় পক্ষই রাস্তা, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা তৈরি করেছে, তাই এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি পরিবর্তিত হয়েছে।’

জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, ‘সীমান্তে সেনাদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সম্পদের মজুদও বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আগে যদি ১০০ সেনা থাকত, এখন সেখানে ১ হাজার সেনা রয়েছে। তাঁদের জন্য রেশন, আবাসন ও যুদ্ধের সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হয়। উভয় পক্ষই এই কাজ করছে।’

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে দেশটির সংসদে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী সংসদে বলেছিলেন, চীন ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রাহুলের দাবি খণ্ডন করে বলেন, ‘সেনাপ্রধান শুধু ঐতিহ্যবাহী প্যাট্রলিং (টহল) প্যাটার্নের ব্যাঘাতের কথা বলেছেন, ইতিমধ্যেই এ বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।’

ভারত ও চীন গত অক্টোবরে ডেপসাং সমভূমি ও ডেমচোক অঞ্চলে প্যাট্রলিং ব্যবস্থা নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। পূর্ব লাদাখের অন্যান্য বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রিও বেইজিং সফর করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।