কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর রিজিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত - Southeast Asia Journal

কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর রিজিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে বাংলাদেশ-মায়ানমার সুসম্পর্ক বজায় রাখা, মাদক চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)র রিজিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে টেকনাফে সমুদ্র সৈকতের ‘সেন্ট্রাল রিসোর্ট’র সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিং টু এর নেতৃত্বে সেদেশের ১৪ প্রতিনিধিদল ও বিজিবির পক্ষে কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমানের নেৃতত্বে টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান, কক্সবাজারের ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহামেদ, রামু সেক্টর ৩০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুর রহমান ও টেকনাফ ২ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর রবায়াৎ কবীরসহ বিজিবির কর্মকর্তারা সীমান্ত অপরাধ দমন, মাদক চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন।

প্রসঙ্গত, সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান রোধে সরকার নতুন করে মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবির একটি বিওপি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ফলশ্রুতিতে এ বছর ৭ এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনে কোস্টগার্ডের পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করে সরকার। এর আগে, ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে তৎকালীন বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) মোতায়েন ছিল।

এর আগে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মিয়ানমারের মংডু শহরে সর্বশেষ রিজিয়ন পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিজিবির পক্ষে কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠানের নেতৃত্বে যোগ দেয়া বৈঠকে সেই সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় মায়ানমার কর্তৃক স্থাপনা নির্মানের তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। বিজিবির প্রতিবাদের মুখে স্থাপনা নির্মানের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিজিপি কর্মকর্তারা। এছাড়া বৈঠকে মাদক পাচার তথা ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ ও মিয়ানমার সীমান্তে পুতেঁ রাখা মাইন অপসারনে সমন্বিত অপারেশন চালানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এ ছাড়া দু’দেশে আটক অপরাধীদের সাজা শেষে যাতে স্ব স্ব দেশে ফেরত আনা সহজ হয় সে জন্য আগে থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করাসহ ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।