রাঙামাটিতে পার্বত্য উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো সচেতন ছাত্র-জনতা

রাঙামাটিতে পার্বত্য উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো সচেতন ছাত্র-জনতা

রাঙামাটিতে পার্বত্য উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো সচেতন ছাত্র-জনতা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলায় খাদ্যশস্য ও প্রকল্প বরাদ্দে বৈষম্যের প্রতিবাদে অন্তর্বতীকালীন সরকারের পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৈষম্যমূলক এই বরাদ্দ বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাঙামাটির বৈষম্যের শিকার বাঙালিসহ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাঙামাটি পৌর চত্বর থেকে ‘সচেতন ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বনরূপায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পার্বত্য উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

আয়োজকরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সম্পত্তি নয়। এটি সব জাতিগোষ্ঠীর আবাসভূমি। এখানে বরাদ্দের নামে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। এই বৈষম্যমূলক বাজেট অবিলম্বে সংশোধন করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন- সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. শওকত হোসেন প্রমুখ।

সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন বলেন, এই পার্বত্য উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে আবার তাকে পার্বত্য উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। অভিযোগ আছে, তিনি তার আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন এবং প্রতিটি প্রকল্প থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করে পাহাড়ি-বাঙালি সব জাতিগোষ্ঠীকে জনসংখ্যা অনুপাতে সমানভাবে বরাদ্দের আহ্বান জানাচ্ছি।

বৈষম্যমূলক এই বরাদ্দ বাতিল করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিত ও প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশে। পরে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

সম্প্রতি, পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে তিন পার্বত্য জেলায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, পক্ষপাতদুষ্ট এবং এক বিশেষ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীভূত ছিলো বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে বাঙালিসহ অন্যান্য সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র চাকমা সম্প্রদায়কে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।