টেকনাফে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ: অপহরণ-চাঁদাবাজি দমনে আশার আলো

টেকনাফে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ: অপহরণ-চাঁদাবাজি দমনে আশার আলো

টেকনাফে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ: অপহরণ-চাঁদাবাজি দমনে আশার আলো
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধে জর্জরিত টেকনাফ সীমান্ত অঞ্চলে অবশেষে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্যাম্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ রোধ এবং মাদক নির্মূলে সেনাবাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি টেকনাফবাসীর মধ্যে নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ জানান, সীমান্তজুড়ে অপহরণ ও চাঁদাবাজি ছিল সাধারণ জীবনের অংশ হয়ে উঠেছিল। এর ফলে কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষাসহ স্বাভাবিক জনজীবনে দেখা দিয়েছিল স্থবিরতা। তবে সেনাবাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি এসব অপরাধের লাগাম টেনে ধরবে বলে মনে করছেন তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, “এতদিন আমরা আতঙ্কে ছিলাম। মাদক ব্যবসা ও অপহরণ আমাদের সব কিছু নষ্ট করে দিয়েছিল। এখন সেনাবাহিনী স্থায়ীভাবে থাকবে শুনে মনে হচ্ছে, আবার নতুন করে বাঁচতে পারবো।”

টেকনাফ উপজেলা পরিষদের একাধিক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা এই অঞ্চলকে নিরাপদ করতে সেনাবাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তারা বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, এই ক্যাম্প স্থানীয় উন্নয়ন ও দুর্যোগকালীন মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু অপারেশনাল কার্যক্রম নয়, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও অংশ নেবে তারা। এতে সেনা-জনসম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।