সরকারী বাহিনীর হাতে আটক নিজ সদস্যদের মুক্তির বিনিময়ে নিরাপত্তাবাহিনীর আটক সদস্যদেরকে মুক্তি দিবে আরাকান আর্মি!
 
                 
নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)’র হাতে আটক নিরাপত্তাবাহিনীর ১৩ সদস্যকে মুক্তি দেবার বিনিময়ে মিয়ানমার সরকারকে, ইতিপূর্বে সরকারী বাহিনীর হাতে আটক আরাকান আর্মি সংশ্লিষ্ট সকল বন্দিকে ছেড়ে দেবার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। গত ২৭ নভেম্বর বুধবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানিয়েছে যে, “চিন রাজ্যের পালেতওয়াতে সম্প্রতি এক সংঘর্ষের সময় আরাকান আর্মি যে ১৩ সেনাকে আটক করেছে, তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে যদি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী তাদের কাছে আটক বন্দীদেরকে মুক্তি দেয়।” বিবৃতিতে আরাকান আর্মির মুখপাত্র বলেন, “আমরা আমাদের আগের বিবৃতিতে বলেছিলাম মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও মিয়ানমার সরকার যদি বিভিন্ন অজুহাতে অবৈধভাবে আটককৃত রাখাইনের সকলকে ছেড়ে দেয়, তাহলে বিনিময় হিসেবে আমরা বন্দিদেরকে মুক্ত করে দেব”।
এর আগে, কিছুদিন পূর্বে আরাকান আর্মি তাদের দেয়া এক বিবৃতিতে, ১৭ জন পুলিশ ও সেনার একটি তালিকা দিয়েছিল সরকারকে, যাদেরকে তারা গত অক্টোবরে রাথেদাউং টাউনশিপে একটি ফেরি থেকে অপহরণ করে। তবে সেসময় সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন আরাকান আর্মির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন যে, সামরিক বাহিনী কখনই কোন সন্ত্রাসীদের সাথে সমঝোতা করবে না।
প্রসঙ্গত, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক দশক আগে ২০০৯ সালের ১০ই এপ্রিল শুরু হয় আরাকান আর্মির সাংগঠনিক উদ্যোগ। নিজেদের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সামনে আনতে রাখাইন নৃ-গোষ্ঠীর (আরাকানি) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন ২৬ জন পুরুষকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিক সদস্য তালিকায় ছিল ভাগ্যের অন্বেষণে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন খনিতে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। প্রশিক্ষণের জন্য বেছে নেওয়া হয় চীন সীমান্তবর্তী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির দখলে থাকা একটি অঞ্চলকে। ক্রমাগত বিস্তৃত হতে থাকে সংগঠনটি।
