নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে ‘স্থলমাইন’ বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ‘স্থলমাইন’ বিস্ফোরণে হামিদ হোসেন (৩২) ওরফে বদি আলম নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত হামিদ উখিয়ার কুতুপালং এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-জি-৪ এর আব্দুল করিমের ছেলে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আহতরা হলো-একই ক্যাম্পের হাবিব উল্লাহ ও জুয়েল হক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যার পর বৃহস্পতিবার ঘুমধুম এলাকার ৩৯ নম্বর পিলারের কাছে বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে মৃত এবং দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের উখিয়া কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে না পারে, সেজন্য বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সীমান্তে স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। এ স্থলমাইন বিস্ফোরণেই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। বর্তমানে নিহত রোহিঙ্গার লাশ রোহিঙ্গা শিবিরে আনা হয়েছে এবং ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কানন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি তিনি শুনেছেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তাচৌকিতে সন্ত্রাসীদের হামলার অজুহাত দেখিয়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চরম নৃশংসতা শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেসময় সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এর পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ।
