মিয়ানমারকে ইসরায়েলের “শুভকামনা”
 
                 
নিউজ ডেস্ক
রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় মিয়ানমারের সমালোচনা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠলেও প্রকাশ্যে এর সমর্থন জানিয়ে এসেছিল ইহুদি রাষ্ট্রটি। তবে এই প্রথমবারের মত এ জাতিগত নিধনযজ্ঞের সমালোচনা করল তারা। গত ২৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সপ্তাহখানেক আগেও ওই নৃশংসতার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনা এক প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে তারা।
তবে গণহত্যার সমালোচনা করলেও আইসিজে’তে করা মামলার শুনানির জন্য মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দকে জনসমর্থন ও শুভকামনা জানিয়েছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রোনেন গিলর। মিয়ানমারকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইট বার্তায় গিলর লেখেন, ‘একটি ভালো রায়ের জন্য অনুপ্রেরণা ও শুভ কামনা।’ গত ২৮ নভেম্বর বুধবার মিয়ানমারের সংসদীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ছবিও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তিনি আবারো ‘শুভ কামনা’ কথাটি উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেশটির সংবাদ মাধ্যম হারেৎজ প্রশ্ন করার পর টুইট বার্তাটি সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও পরবর্তীতে তিনি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক নির্যাতন চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া। আগামী ১০-১২ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডদের হেগে অবস্থিত আইসিজে’তে মামলাটির প্রকাশ্য শুনানি শুরু হবে।
