সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগরে ট্রেন দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করলে পুরো এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় আড়াই ঘণ্টা অচল হয়ে পড়ে। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিকেল ৫টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া রেলক্রসিংয়ে যাত্রীবোঝাই একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের দুই সদস্যসহ চারজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী এলাকার মরিয়ম আক্তার (৪৫), তার শিশু কন্যা, অটোরিকশাচালক হাবিব উল্লাহ এবং আরও একজন নারী যাঁর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা দুর্ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে স্থবিরতা নেমে আসে।

সেনাবাহিনীর একটি দল বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে শান্ত করে সড়ক ও রেলপথ মুক্ত করে। এর ফলে সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতি পুনরায় সচল হয় এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং যোগাযোগব্যবস্থা পুনরায় সচল হয়।”

উল্লেখ্য, কক্সবাজার রেলপথের বিভিন্ন রেলক্রসিংয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তবে সেনাবাহিনীর দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপে এবার বড় ধরনের সংকট এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।