এনজিও সমূহের নামের পাশে ‘আদিবাসী’ শব্দ পরিবর্তন চায় সরকার, এক মাসের সময় দিয়ে নির্দেশনা জারি
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে যেসব এনজিওসমূহের নামে ‘আদিবাসী’ বা ‘ইন্ডিজিনাস’ শব্দ আছে তাদেরকে আগামী এক মাসের মধ্যে নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। আদিবাসী শব্দটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকী বলে এনজিও ব্যুরো থেকে ইস্যুকৃত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে।
শিলু রায়, সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত গত ১৮ ডিসেম্বর তারিখে একটি আদিবাসী এনজিওকে ইস্যুকৃত ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩ক অনুযায়ী এ দেশে আদিবাসী নামক কোন জনগোষ্ঠীকে চিহ্ণিত করা হয়নি। তাছাড়া বৈশ্বিক আদিবাসী রাজনীতির অংশ হিসেবে এক শ্রেনীর দেশী/বিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল আইএলও কনভেনশন -১৬৯ এ প্রদেয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের সুযোগ সুবিধা ও তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সোচ্চার রয়েছে; যা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়া আদিবাসী শব্দটি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতায় জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকিস্বরূপ। এ সকল কারণে সকল আদিবাসী/Indigenous নামধারী এনজিওসমূহের নাম পরিবর্তন করা আবশ্যক। এমতাবস্থায় আগামী এক মাসের মধ্যে নাম পরিবর্তনের আবেদন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”
এই বিষয়ে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, এই ধরনের নির্দেশ প্রদান দুঃখজনক। আদিবাসী মানুষদের যদি আদিবাসী নাম দিয়ে সরকার কোন সংগঠন করতে না দেয় তাহলে সেটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তিনি আরো বলেন, সরকার তার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আইএলও কনভেনশন ১৬৯ অনুস্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অথচ আজ এটিকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য হুমকি বলছেন। তিনি সরকারের এই নির্দেম বাতিলে দাবি জানান।
