সীমান্তে নিজেদের অংশে মাইন পুঁতে রাখে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন বিষয়- বিজিবি প্রধান

নিউজ ডেস্ক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শূণ্যরেখার ৫০ মিটারের বাইরে অর্থাৎ নিজেদের অংশে মাইন থাকলে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি বলেন, মিয়ানমার দাবি করেছে “তারা সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে কখনোই মাইন পুঁতে রাখেনা, বাংলাদেশ অংশে মাঝে মাঝে আরাকান আর্মিই মাইন পুঁতে রাখে”।
৮ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) সিনিয়র পর্যায়ের সপ্তম সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান একথা বলেন।
বিজিবি প্রধান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে সেনাবাহিনী। তবে আমরা বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেটি পাশ হলে শুরুতে যেসব এলাকা দিয়ে মাদক চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে সেদিকে বেড়া দেওয়া হবে।’
ইয়াবা চোরাচালান বন্ধে মিয়ানমার তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা জব্দ ইয়াবা নাফ নদিতে ফেলে দিয়েছেন- আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তারপরও তাদেরকে মাদকবিরোধী অভিযানে আরো তৎপর হতে আহ্বান জানিয়েছি।’ সন্ত্রাসীদের বিষয়ে মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান তাদের জিরো টলারেন্সের বিষয় উত্থাপন করে জানান, বাংলাদেশ যেন তাদের আশ্রয় না দেয়। এ বিষয়ে সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী আশ্রয় নিতে পারবে না।’
সম্মেলনে আলোচনায় দুই দেশ মাদক বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ চোরাচালান, মানবপাচার, সন্ত্রাসবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করে। পাশাপাশি সীমান্তে গুলি চালানোর বিষয়ে একে অপরকে অবহিতকরণ, রিয়েলটাইম ইনফরমেশন আদানপ্রদানসহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য এসেছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল নামলে সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনী মাইন পুঁতে রাখে বলে অভিযোগে উঠে। যদিও দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, মাইনগুলো আরাকান আর্মি নামের একটি সংগঠন পুঁতে রেখেছে। এরপর সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রায়ই মাইন বিস্ফোরণে হতাহতের খবর গণমাধ্যমে আসে। গত মঙ্গলবারও রাখাইনের মংডুতে মাইন বিস্ফোরণে ১০ শিশু নিহত হয়।