গুইমারায় অবরোধের নামে সহিংসতা: সেনাবাহিনীর ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ
![]()
নিউজ ডেস্
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের ২য় দিন গুইমারা উপজেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে সেনাবাহিনীর এক জোন উপ-অধিনায়কসহ ১১ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সড়ক অবরোধের কারণে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুইমারা উপজেলা প্রশাসন শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।

তবে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে অবরোধকারীরা গুইমারা খাদ্য গুদামের সামনে জড়ো হয়ে ঢাকা-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবরোধকারীরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীরা। এতে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মাজহার হোসেন রাব্বানীসহ সেনাবাহিনীর ১১ সদস্য আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরে অবরোধকারীদের সাথে থাকা ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্যরা প্রকাশ্যে গুলি চালায়। একই সঙ্গে গুইমারার রামসু বাজারের প্রবেশমুখে ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশ্ববর্তী পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত টহল জোরদার করেছে।
প্রসঙ্গত, পাহাড়ের সাম্প্রতিক ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও সশস্ত্র তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।