বান্দরবানের দুর্গম রুমায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফের হ্যাপি হিল প্যারা স্কুলের পথচলা শুরু - Southeast Asia Journal

বান্দরবানের দুর্গম রুমায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফের হ্যাপি হিল প্যারা স্কুলের পথচলা শুরু

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানের দুর্গম রুমায় প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা একটি বিদ্যালয়ের মেঝেতে নতুন করে পড়েছে সূর্যের আলো। সারাদেশের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এবার দুর্গম পাহাড়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এই নতুন উদ্যোগের সূচনা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আর সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জনকল্যানমূখী কর্মকান্ডের সাথে নতুন করে যুক্ত হলো বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার হ্যাপি হিল প্যারা স্কুল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশে (সিসিডিবি) হাত ধরে সূচনা হয়েছিল বিদ্যালয়টির। কিন্তু অবকাঠামোগত ও অর্থায়নের সমস্যার কারণে বিদ্যালয়টি ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ ছিল। যার ফলে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের শিক্ষা গ্রহনে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব প্রতিবন্ধকতা নিরসন করে পাহাড়ে শতভাগ স্বাক্ষরতার হার নিশ্চিত ও পাহাড়ী শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে এবার বিদ্যালয়টি পুনরায় চালুর উদ্যোগ গ্রহন করে সেনাবাহিনীর রুমা জোন। যার ফলশ্রুতিতে ১৪ জানুয়ারি থেকে পুনরায় চালু হলো স্থানীয় শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের অন্যতম এই বিদ্যাপিঠ। শুধু চালু করাই নই, এ উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনীর রুমা জোন থেকে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ সেট টেবিল এবং বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড, বই, খাতা এবং শুকনো খাবারও সরবরাহ করা হয়েছে। আশ্বাস দেয়া হয়েছে সকল কর্মকান্ডে সহায়তার।

দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বিদ্যালয়টির সংস্কার ও চালু করার পর সেখানকার জনমনে একধরণের উচ্চাস তৈরী হয়েছে। সেনাবাহিনীর এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয় সকল জনসাধারন।

এর আগেও, বর্তমান সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারে গৃহীত নানা পদক্ষেপ সহ এ অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মকান্ডে নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে এ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সরাসরি অর্থায়ন ও উদ্যোগে বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও, সেনা সদস্যরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজগুলোতে বিনামূল্যে চেয়ার-টেবিল, বই, খাতা, কলম, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে থাকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তাও দিয়ে থাকে। পাশাপাশি দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাসদস্যরা পাঠশালা প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদেরকে স্কুলে যেতে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। ডিজিটাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করে রাঙামাটির সাজেকের মত দূর্গম এলাকাতেও শিক্ষার আলো পৌঁছে দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেই সাথে পিছিয়ে পড়া উপজাতি জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মান উন্নয়নে তাদের জন্য আবাসিক হোস্টেল নির্মাণ করেও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখছে সেনাবাহিনী। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মুরং কমপ্লেক্স, রুমা উপজেলার বম হোস্টেল এবং রাঙামাটির ঘাগড়াতে ত্রিপুরা মহিলা হোস্টেল যার প্রকৃত উদাহরণ।