নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের একতরফা সিদ্ধান্তে মন্ত্রণালয়ের অসন্তোষ
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, পুনঃনির্ধারণ ও পুনরায় স্থগিতের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অধিদফতরের তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ৫৩০টি শূন্যপদের নিয়োগ সম্পন্ন করতে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক পূর্বমুহূর্তে এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বাস্তবসম্মত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, ৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা, সচিব, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দ্রুত, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ৩-৪ জন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে একাধিক বোর্ড গঠনসহ বেশ কিছু প্রস্তাব জেলা পরিষদকে দেওয়া হয়। তবে জেলা পরিষদ এসব প্রস্তাব বিবেচনায় না নিয়ে ২১ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষার নতুন তারিখ একতরফাভাবে ঘোষণা করে।

এছাড়া জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার ঘোষিত কোটা নীতিমালা পার্বত্য জেলায় কীভাবে প্রযোজ্য হবে—তা নিয়ে মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাইলেও, সেখান থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়ার নির্দেশনা আসে। পরবর্তীতে পার্বত্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকা সত্ত্বেও জেলা পরিষদ নিজস্ব সিদ্ধান্তে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা ২০ নভেম্বর রাঙ্গামাটিতে পৌঁছে জানতে পারেন যে পরদিনের পরীক্ষা আবারও স্থগিত করা হয়েছে। তথ্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, এসব সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেলেও জেলা পরিষদ সরাসরি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেনি। তবুও রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মন্ত্রণালয় সহায়তা দিয়ে যাবে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে, স্থানীয় অবস্থা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মেধা-কে প্রাধান্য দিয়ে স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া তফসিল ঘোষণার আগেই সম্পন্ন করাই তাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ও পুনর্নির্ধারণের ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত সাধারণ আবেদনকারী ও স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।