রাঙামাটির বরকলে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ - Southeast Asia Journal

রাঙামাটির বরকলে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে এক ভূক্তভোগী নারী। গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকালে রাঙামাটি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করতে এসে ধর্ষিতা নাসরিন বয়স (১৮) এই অভিযোগ করে বলেন তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এক প্রশ্নের জবাবে নাসরিন ও তার পিতা মোঃ নাছির বলেন, বরকলে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না, অপরদিকে সেখানে আমি ও আমার পরিবার পরিজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, মামুনের হুমকির কারণে এখানে মামলা করতে এসেছি। এখানেও মামুন চেয়ারম্যান তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে যেন আমরা মামলা করতে না পারি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অন্যদিকে কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ কবির হোসেন বলছেন, ভিকটিমের বাড়ি বরকল ও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওই চেয়ারম্যানের বাড়িও বরকল। তাই মামলাটি বরকল থানায় করার কথা এটা এখানে আসলো কেন?

নাসরিন আক্তার বলেন, মামুন চেয়ারম্যান সুকৌশলে তাকে তার স্বামীর ঘর থেকে ডির্ভোস দিয়ে এনে বিয়ে করার নামে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অনেকবার দৈহিক মিলন করে, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বলেন, মামুন চেয়ারম্যান অনেক চেষ্টা করেছিল গর্ভপাত নষ্ট করার জন্য কিন্তু তিনি টের পেয়ে চট্টগ্রাম চলে যায়।

নাসরিন বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমি ও আমার মা বাবার পিছনে তার লেলিয়ে দেয়া ক্যাডার বাহিনী লাগিয়ে রেখেছেন যেন আমরা মামলা করতে না পারি। মামুন আমার সর্বনাশ করে এখন বলছে এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি নারী লোভী চেয়ারম্যান মামুনের বিচার চাই।’

ধর্ষিতার পিতা মোঃ নাছির বলেন, আমার বিবাহিতা মেয়েকে লোভ লালসা দেখিয়ে স্বামীর ঘর থেকে ডির্ভোস দিয়ে নিয়ে এসে মামুন চেয়ারম্যান ধর্ষণ করে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করে দিয়ে এখন অস্বীকার করছে। আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি ও আমার মেয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় দিনতিপাত করছি। এলাকায় গেলে মামুন চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে।

ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মামুন বলেন, এটি একটি কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভূয়া ষড়যন্ত্রমূলক হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। মামুন বলেন, আমি স্থানীয় রাজনীতির শিকার।